সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গিটারের সুর বলতে তরুণ-তরুণীদের সামনে আসে মাহফুজ আনাম জেমস এর নামটি। বাংলা সংগীতের ইতিহাসে যে কজন কিংবদন্তি পপ তারকা এসেছেন, জেমস তাদের অন্যতম। তিনি নগরবাউল বা গুরু এসব নামে দেশব্যাপী পরিচিত। আজ এই গুণী মানুষটির জন্মদিন।
১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর জেমসের জন্ম হয়েছিল নওগাঁয়। তবে বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। ২০১৫ সালে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ১০টি বিলবোর্ড টাঙিয়ে প্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বেশ আলোচিত হয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের ছেলে প্রিন্স।
জানা যায়, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জেমসের জন্মদিনে ভিন্ন কিছুর আয়োজন করেন ওই ভক্ত। ২০১৪ সালেও তিনি জেমসের জন্মদিনে বিশাল এক কেক নিয়ে ঘুরে বেড়ান ঢাকা শহরের নানা জায়গায়।
এরপর ২০১৭ সালের জন্মদিনে পুরো অক্টোবর জুড়ে সারা দেশে এক কোটি গাছ লাগান জেমসের ভক্তরা। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় জেমসের ৫৩টি প্রতিকৃতিও টাঙানো হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালেও নানা আয়োজনে জেমসের জন্মদিন পালন করেন তার পাগল ভক্তরা। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে পাল্টে যায় চিত্র। কারণ তার আগের বছরের ১৮ অক্টোবর না ফেরার দেশে চলে যান বাংলা ব্যান্ড জগতের আরেক কিংবদন্তি ও গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চু। জেমস এবং আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বন্ধুর মৃত্যুতে জেমস এতটাই কষ্ট পেয়েছিলেন যে, ২০১৮ সালে একটি লাইভ কনসার্টে তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়।
পরের বছর জন্মদিন আসার আগেই জেমস ঘোষণা দেন যে, তিনি জন্মদিনের কোনো উৎসব পালন করবেন না। পাশাপাশি ভক্তদেরও অনুরোধ করেন কোনো ধরনের আয়োজন না করতে। যার কারণে ২০১৯ সালের পর থেকে ভক্তদের পক্ষ থেকে জেমসের জন্মদিনের আর কোনো আয়োজন করা হয়নি। যথারীতি কোনো আয়োজন নেই এ বছরও।
জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। ১৯৮৭ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’প্রকাশ পায়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’নামের একক অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান জেমস। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ সালে ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অব ফিলিংস’অ্যালবামগুলো প্রকাশ পায়। এরপর ‘ফিলিংস’ভেঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। এই ব্যান্ড ‘দুষ্টু ছেলের দল’এবং ‘বিজলি’অ্যালবাম দুটির মধ্যেই আটকে যায়।
২০০৪ সালে কলকাতার সংগীত পরিচালক প্রিতমের সঙ্গে গান নিয়ে কাজ করেন জেমস। ২০০৫ সালে বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় প্লেব্যাক করেন তিনি। এরপর ২০০৬ সালে আবারও বলিউড সিনেমা ‘চল চলে’ গানে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে তিনি ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ সিনেমায় প্লেব্যাক করেন। তার প্রকাশ পাওয়া সবশেষ গান ‘সবই ভুল’। ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরের চাঁদ রাতে এটি প্রকাশ পায়।
২০০০ সালের প্রথম দিকে পেপসির একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে অংশগ্রহণ করেন জেমস। এটিই ছিল তার কাজ করা প্রথম বিজ্ঞাপন চিত্র। বিজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রচার করা হয়। এরপর তিনি ২০১১ সালে এনার্জি ড্রিংক ব্ল্যাক হর্সের বিজ্ঞাপনে কাজ করেন।
জেমসের উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্টেশন রোড (১৯৮৭), জেল থেকে বলছি (১৯৯০), নগর বাউল (১৯৯৬), লেইস ফিতা লেইস (১৯৯৮), কালেকশন অব ফিলিংস (১৯৯৯), দুষ্টু ছেলের দল (২০০১) প্রভৃতি।
কে