সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে নেটদুনিয়ায় প্রশ্নের মুখে নুসরাত জাহান। সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদ জানান, সেখানে ১৭৪ ধারা চলছে বলেই তিনি যাননি। এতেই তুমুল শোরগোল।
অবৈধভাবে জমি দখল থেকে শুরু করে গণধর্ষণের মতো অভিযোগের পাহাড় সন্দেশখালিতে। আর তাতেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
নুসরাত বলেন, ‘আমি কিন্তু এখন পর্যন্ত দলের নির্দেশ মেনে চলি। আমার মনে হয় একটা সিচুয়েশন সন্দেশখালিতে তৈরি হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন কিন্তু প্রত্যেক দিনই স্থানীয়দের সাহায্য পাঠাচ্ছে। যা যা করার তা করা হচ্ছে। আমি নিজে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। যার যার সাথে যোগাযোগ রাখার কথা নিয়মিতভাবে সেটা আমি করছি।’
এরপরই আবার তারকা সাংসদ বলেন, ‘আমার সন্দেশখালি যাওয়া বা না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন জানি না! মানুষকে আমি হতাশ না করে বলতে চাই, ওখানে একটা সিচুয়েশন চলছে। ১৭৪-এর যে সিচুয়েশনটা আছে, সেখানে আমি যদি যাই সেখানে আমি আরও পাঁচজনকে তো নিয়ে যাব সঙ্গে করে। সেটা আইনের বিরুদ্ধ হয়। আর আমি অবশ্যই এমন কিছু করব না যা আইন-কানুনের বিরুদ্ধাচারণ হবে। মনে রাখবেন আমরা আইনের ঊর্ধ্বে নই। সবসময় এটা মনে রাখতে হবে এবং আমাদের সিস্টেমের উপর এবং প্রশাসনের উপর একটু ভরসা রাখতে হবে। মানুষ অবশ্যই বিচার পাবে।’
নুসরাতের মুখে ‘১৭৪ ধারা’ শুনে আকাশ থেকে পড়ছে আমি জনতা। একজন সাংসদের মুখে থেকে এমন ভুল কি মানা যায়? প্রশ্ন তুলছে নেটিজন। কেউ কেউ তো বলছে, এটা কোনো ভুল নয়। তিনি আসলে জানেনই না কোনটা ১৪৪ ধারা!
একজন লিখেছেন, সারাদিন রিলস আর টিকটক নিয়ে ব্যস্ত থাকলে কী আর ১৪৪ ধারা সম্পর্কে জানা যায়? আরেকজন লেখেন, তার সন্দেশখালি যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু টিকটক ব্যান হয়ে গেলে সেটার প্রতিবার করা জরুরি!
এরকম অসংখ্য কটাক্ষে ভরে গেছে নেটদুনিয়া। কিন্তু বরাবরের মতো সেসব এড়িয়ে চলছেন নুসরাত।
আর