সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মুঠোফোনে আর্থিক লেনদেনের অ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে যান প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সেখান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ডিবি কার্যালয়ে যান দীঘি। তারপর গণমাধ্যমের কাছে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনাটি বিস্তারিত জানান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দীঘি বলেন, ‘গত পরশু ঘটেছে ঘটনাটি। আমি একটি কাজের জন্য বাইরে বের হয়েছিলাম। বাসায় ড্রাইভার না থাকায় সিএনজি করে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে আমার কাছে ফোন আসে। তখন আমাকে নানাভাবে ম্যানুপুলেট করা বোঝানো হয়, আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। তো আমার অ্যাকাউন্টে যেহেতু টাকা রয়েছে, তাই আমি চাইনি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হোক।’
দীঘি বলেন, ‘আমি সিএনজিতে থাকায় সেভাবে কিছু বুঝতেও পারছিলাম না। তাই অ্যাকাউন্ট যাতে বন্ধ না হয়। তাদের (প্রতারক) আমার পরিচয় দেই। তখন তারা সরি বলে জানায়, অ্যাকাউন্ট সচল রাখতে আমার হেল্প লাগবে তাদের। এই সময়ের মধ্যে তারা আমার ফোনে ওটিপি পাঠায়। আমিও সেটি দিয়ে দেই তাদের। আমি শুধু মনে রেখেছিলাম যে, আমার পিন কোড না দিলেই হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তারপর হঠাৎ অ্যাকাউন্ট চেক করি। তো দেখি আমার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। অ্যাকাউন্টে দেড় লাখ টাকার বেশি ছিল। এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। এরপর আমি সবার সঙ্গে বুঝতে থাকি বিষয়টি নিয়ে। সবার পরামর্শে আমি শেরে বাংলানগর থানায় গিয়ে জিডি করি ‘
দীঘি বলেন, ‘শুরু থেকে ডিবিপ্রধান হারুনুর রশিদ ভাইয়ার কথা মনে পড়ছিল। মনে হচ্ছিল, তিনি হয়তো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এ কারণে এখানে আসা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিবিপ্রধান আমাকে পরদিন দেখা হলে বলেন, আমার আগের রাতে পাঠানো স্ক্রিনশট দেখেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তারা। আর পরদিন রাতে আমাকে জানান, আমার টাকা রিটার্ন করতে পেরেছেন। আগামীকাল আমাকে টাকাটা হ্যান্ডওভার করতে চান। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
প্রয়াত নায়িকা দোয়েল ও অভিনেতা সুব্রতর মেয়ে প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে চিত্রনায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
আর