একাধিক মহিলার সঙ্গে থেকেছি বলেই আমাকে ঈর্ষা করে: কবীর সুমন

দিন কয়েক আগেই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কবীর সুমন। জানা গিয়েছিল, ফুসফুসে পানি জমেছিল তার। এ ছাড়াও হয়েছিল হার্ট ফেলিওরও। তবে সব সমস্যা কাটিয়ে আবারও ফিরে এসেছে বছর চুয়াত্তরের এই ‘নবীন’।

দেশ টিভি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

কবীর সুমনের হার্ট ফেলিওরের কারণ হিসেবে রটেছিল নানা রটনাও। প্রশ্ন উঠেছিল তার ব্যক্তিগত জীবন, প্রতিদিনের অভ্যাস; এমনকি ‘চরিত্র’ নিয়েও। বাড়ি ফিরেই সেই সব সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। বলা ভালো, রীতিমতো বোমা ফাটালেন এই কিংবদন্তি গায়ক।

সুমন সম্প্রতি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘকাল বেঁচে থেকে বুঝলাম বড্ড বেশিরভাগ বঙ্গভাষী বিশ্বাস করেন চরিত্র থাকে জননেন্দ্রিয়ে। কোনো পুরুষ একাধিক মহিলার সঙ্গে শয়ন করলেই তার চরিত্র খারাপ। মহিলাদের বেলাতেও একই মাপকাঠি। বড্ড বেশি বঙ্গভাষী আমায় ঘৃণা করেন, আমি একাধিক মহিলার সঙ্গে থেকেছি বলে। বুঝেছি মূল জায়গাটা ঈর্ষা। তারাও চায়। পায় না। পেরে ওঠে না।’

এখানেই থেমে থাকেননি কবীর সুমন। হাসপাতালে ভর্তির পর সামাজিক মাধ্যমে তার ‘মৃত্যুকামনা’ করে পোস্টের সংখ্যা কম নয়। সেইসব পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি লিখেছেন, ‘সেদিন দেখলাম তিনজন সনাতনধর্মীয় বঙ্গজ পুরুষনামধারী ফেসবুকে লিখেছেন, হাসপাতাল থেকে না ফিরলেই ভালো হতো। আবার কতজনকে ধরেবেঁধে বিয়ে করবে কে জানে! হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেছি, বড়ই পরিতাপের বিষয়। যারা তা মনে করেন প্লিজ আশায় থাকুন। বুড়ো আবার ব্যামোয় পড়বে। কে বলতে পারে এবারে হয়ত পগার পার।’

বেশ অসুস্থই হয়ে পড়েছিলেন সুমন। শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছিল তার। বাইরে থেকে অক্সিজেনও সরবরাহ করতে হয় তাকে।

আর