সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ফেঁসেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত জাহান। গেল সপ্তাহে আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা তাকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
অভিযোগ ওঠার পর থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন নুসরাত। এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে।
কিন্তু কেউ যেন নুসরাতের কথা বিশ্বাস করছেন না। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই সবাই তাকে দোষী ভাবছেন। সেকারণে বেজায় মন খারাপ তার।
আর তাই সপ্তাহের শেষে সবাই যখন ছুটির মেজাজে তখন সত্য অন্বেষণে নুসরাত। নিজের উপলব্ধির কথাই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করলেন অভিনেত্রী।
নুসরাতের স্টোরিতে লেখা, ‘সত্যের কখনও পরিবর্তন হয় না, তা শাশ্বত। যতই রঙ চড়িয়ে তা বিকৃত করার চেষ্টা করা হোক না কেন, সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবেই। যারা এই সত্যিটা বুঝতে পারে না তারা একদিন না একদিন ধ্বংস হবে।’
নুসরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, একটি সংস্থার মাধ্যমে কলকাতার নিউটাউনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আবাসন বা ফ্ল্যাট বিক্রির প্রকল্পে তিনি প্রতারণা করেছেন। এই ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপি অবিলম্বে নুসরাতকে গ্রেপ্তার এবং তার সংসদ সদস্যপদ বাতিলের দাবি তুলেছে। এই অভিযোগে ইতোমধ্যে আলিপুর আদালতে নুসরাত জাহানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা নুসরাত জাহান ছিলেন কলকাতা মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি আবাসন প্রকল্প সংস্থার পরিচালক। এই সংস্থার তিনজন পরিচালকের মধ্যে তিনি অন্যতম এবং তার সুনাম বা গুডউইলকে সম্পদ করে এই সংস্থা মাঠে নামে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের একটি আবাসন প্রকল্প নিয়ে।
বলা হয়, এই প্রকল্প গড়া হবে কলকাতার রাজারহাটের নিউটাউনে। এই লক্ষ্যে নুসরাত জাহানরা ৪২৯ জন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মজীবীদের কাছ থকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার রুপি করে অগ্রিম অর্থ নেন।
অর্থের পরিমাণ ২৪ কোটিরও বেশি। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যান্য সূত্র থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা তুলে দেন নুসরাত জাহানের ওই সংস্থায়। কথা ছিল, তিন বছরের মধ্যে সবাইকে তিন রুমের একটি করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এখনও সেই ফ্ল্যাট পাননি।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশ এবং ইডির গোয়েন্দারা। নুসরাত জাহান ২ আগস্ট কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব দেন। তিনি দাবি করেন, ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন।
আরএসও
মন্তব্য করুন