বেধড়ক পিটুনির পর লিভার ফেটে ও মস্তিষ্কে অভ্যন্তরীণ মারাত্মক রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রলীগ নেতা সাদ ইবনে মমতাজের।
সোমবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মামুন প্রতিবেদনে এ কথা বলেছেন।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ারের কাছে জমা দেয়া হেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। মাথার পেছনেও ছোট্ট আঘাত ছিল। বাম হাতের একটি জয়েন্ট ছিল মারাত্মক ফাটানো। এরকম অমানবিক নির্যাতনে লিভার ফেটে ও মস্তিষ্কে অভ্যন্তরীণ মারাত্মক রক্তক্ষরণের কারণেই মারা যান সাদ।
বাকৃবির আশরাফুল হক হল ছাত্রলীগের গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের স্নাতক শেষ বর্ষের ক্লাস প্রতিনিধি সাদ ইবনে মমতাজকে গত সোমবার (৩১ মার্চ) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তার সহপাঠীসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পর দিন মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে তিনি মারা যান। আসন্ন অনুষদীয় সহ-সভাপতি নির্বাচন ও ক্লাশ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সুজয় ও রোকনুজ্জামান এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান তার সহপাঠীরা।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে গত ৮ দিন ধরে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ, প্রশাসন ভবন ঘেরাও, পথচিত্র অঙ্কন ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন শিক্ষক সমিতি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকর অভিযোগে সাদের বন্ধু ছাত্রলীগ নেতা সুজয় কুমার কুন্ডু ও রোকনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।