সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদে ওপরে হামলা, হত্যা, মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। ছাত্রদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হত্যার বিচার, আটকদের মুক্তি এবং হয়রানি বন্ধের দাবিতে প্রতিদিন কখনও রাজপেথ আবারও কখনও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তবে এবার অন্যরকম সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভ পরিস্থিতির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে নিজ কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে ফেলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে অধ্যাপক শামীমা সুলতানা নিজেই গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধ্যাপক শামিমা সুলতানার অফিস কক্ষে বসা একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, শামীমা সুলতানার পেছনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, আমার মনে হয় মানুষের হৃদয় থেকে তার (শেখ হাসিনা) ছবি মুছে গেছে। তিনি কোটা আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন, আবার বার বার মিথ্যাচার করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তার হাতে অসংখ্য শিক্ষার্থীর রক্ত লেগে আছে। শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মতো। যার হাত আমার সন্তানের রক্তে রঞ্জিত, তার ছবি আমার দেয়ালে রাখতে চাই না। তাই তার ছবি দেয়াল থেকে সরিয়ে ফেলেছি।
উলেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীদের অফিস কক্ষ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এফএইচ