শেয়ারবাজারে আসতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেইঞ্জ কমিশনে আবেদন করেছে রবি।
মোবাইল ফোন অপারেটরটি সোমবার এই আবেদন করে।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে অপারেটরটির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম জানিয়েছিলেন, শেয়ারবাজারে যেতে ইতোমধ্যে বিটিআরসি অনাপত্তিপত্র পেলেও তারা তখনও তালিকাভুক্ত হতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেইঞ্জ কমিশনে আবেদন করেননি।
যদিও দুই শর্তের উপর তাদের এই শেয়ারবাজারে আসা নির্ভর করছে বলে উল্লেখ করে ওই সংবাদ সম্মেলনে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, ‘তবে এটি নির্ভর করছে সরকারের উপর। আসছে বাজেটে সর্বনিম্ন কর এবং কর্পোরেট ট্যাক্সে তারা ছাড় চান। এই দুই শর্ত পূরণ হলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আইপিও এবং নিবন্ধন করে ফেলার আশা করছেন তারা’ বলেন রবি সিইও।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ১০ টাকা মূল্যে রবির শেয়ার ছেড়ে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হতে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেয় রবির মূল কোম্পানি আজিয়াটা।
মালয়েশিয়ায় দেয়া ওই ঘোষণায় জানানো হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেইঞ্জে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা তোলার জন্য ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার শেয়ার ছাড়বে তারা।
এরমধ্যে সাধারণ পাবলিক শেয়ার থাকছে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ টি। রবির পরিচালক-কর্মীদের জন্য এমপ্লয়ি শেয়ার পারচেজ প্লান (ইএসপিপি) এ থাকছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪ টি শেয়ার।
রবির মোট শেয়ার হলো ৪৭১ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার ১টি। এরমধ্যে আজিয়াটার হাতে রয়েছে ৩২৩ কোাটি ৮৩ লাখ, ভারতী ইন্টারন্যাশনালের হাতে ১১৭ কোটি ৮৫ লাখ এবং জাপানের এনটিটি ডকোমোর কাছে রয়েছে ২৯ কোটি ৭৩ লাখ শেয়ার।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ ১০টাকা আর অনুমোদিত মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকা।
রবি ২০১৯ সালে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে।
রবির মোট গ্রাহক এখন ৪ কোটি ৭৩ লাখ, এটি দেশের মোট মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ।/টেকশহর