দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চেয়েছিলেন কলেজশিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগম। মনোয়নয়ন পেতে শুরু করেন তদবির। পড়েন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু পরিচয়ে চাকরির তদবিরকারী প্রতারক চক্রের খপ্পরে। খোয়ালেন ৬২ লাখ টাকা।
চাকরির তদবিরকারী প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও প্রতারণায় ব্যবহৃত আলামত জব্দ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ভুয়া লিকুর আসল নাম ইয়াসির আরাফাত (৩০)। একই ঘটনায় মো. আনিস নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আঞ্জুমান আরা বেগম তিনি একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি স্থানীয় রাজনীতি করেন। তার ইচ্ছা তিনি নারী কোটায় এমপি হবেন। সেজন্য তিনি আনিস নামে একজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি (আনিস) বলেন, আপা আপনার সঙ্গে কি লিকুর কোনো যোগাযোগ বা ম্যাসেজ আসেনি? হ্যাঁ ম্যাসেজ তো আসছে। তাতে লেখা ছিল-দ্রুতই নিয়োগ দেওয়া শেষ হয়ে যাবে। দ্রুত ৬২ লাখ টাকা পাঠান। প্রথমে ১২ লাখ টাকা দিতে হবে উন্নয়ন ফান্ডে। বাকি টাকা দিতে হবে অ্যাকাউন্টে।
আনিস তখন বলেন, ভাই তো টাকা দিতে বলেছে, টাকা দেন। সুমন ও আনিসের নামে দুজনের মাধ্যমে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ৬২ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপর আজ পর্যন্ত ওই নম্বর খোলা পাওয়া যায়নি।
হারুন বলেন, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ পরিচয়ে প্রতারণা করা ভুয়া লিকুও বিভিন্ন লোকজনকে টেলিফোন করেন। বলেন, আমি লিকু বলছি, তাকে চাকরিটা দিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে। এভাবে কিন্তু লিকুর পরিচয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও হয়ে গেছে একজনের। এভাবে সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ব্যক্তিকে টেলিফোন করে তদবির করেছেন। লিকুর নাম ব্যবহার করে বিভিন্নজনের কাজ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। লিকু পরিচয় দেওয়া দুই প্রতারক ভুয়া লিকুকে গ্রেপ্তার করেছি।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু পরিচয় দিয়ে এই প্রতারণার কাজটি করে আসছিলেন। তাদের বক্তব্যে আরও কিছু ভুয়া লিকু রয়েছে। যারা দাপ্তরিক তদবির করেন।
হারুন বলেন, এর আগেও লিকুর নাম ব্যবহার করে একটা জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এক কোটি টাকা দিয়েছেন দলীয় মনোনয়ন পাবার কথা বলে। আমরা সে প্রতারককেও গ্রেপ্তার করেছি। এভাবে অসংখ্য প্রতারক গাজী লিকু নাম ধারণ করে প্রতারক গ্রেপ্তার করছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২, পিএস বা এপিএস পরিচয়ে এর আগেও আমরা ভুয়া লোকজনদের গ্রেপ্তার করেছি। অনেক নাম ধারণ করে প্রতারণা করেছে। কিছু দিন বন্ধ ছিল। নির্বাচনের পর আবার এটা শুরু হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এই চক্রের ব্যাপারে টাকা লেনদেন কিংবা তদবির করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
এফএইচ