দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফেনীর দাগনভূঞায় বাজার ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে গত চার মাস ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন এবং সদ্য বহিষ্কৃত জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি দাগনভূঞা বাজারের ইজারা নেন আকবরের এক অনুসারী। এনিয়ে সোমবার (১৪ এপ্রিল) ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে আজও দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুরো বাজার এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, ইজারার ব্যাপারটি প্রশাসনিক বিষয়। সম্প্রতি আমাদের এক কর্মী বাজার ইজারা পাওয়ার পর নিয়মানুযায়ী টাকা তুলতে গেলে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বাধা দিয়ে তারা টাকা তুলবে বলে জানান। আজও আমাদের কিছু নেতাকর্মী বাজারে অবস্থান করা অবস্থায় তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এদিকে ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আকবর হোসেনের লোকজন আগে থেকেই বাজারে এসে মহড়া দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই অনুযায়ী আজ সকাল থেকে তারা দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে। একপর্যায়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এতে যুবদল নেতা চৌধুরী রিয়াদ, লিটন, রাসেল, রিয়াজ, রাজু ও হানিফসহ আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন আবার আমাদের কিছু নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। বিষয়গুলো দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা সার্কেল) তছলিম উদ্দিন বলেন, দাগনভূঞা বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। একইসময় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে বিস্ফোরণে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এফএইচ/