দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মাদারীপুরে রাজৈরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১টায় রাজৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহফুজুল হক এই ধারা জারি করেন।
উপজেলা প্রশাসন থেকে জারি করা আদেশে বলছে, গত ৭দিন ধরে রাজৈর বাজার সংলগ্ন পশ্চিম রাজৈর ও বদরপাশা গ্রামের মধ্যকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অস্ত্র শ্রদর্শনীসহ বিভিন্ন দাঙ্গা হাঙ্গামা চলছে। এ সকল আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী ঘটনা বন্ধে এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনে ফৌজদারী কার্যবিধি মতে ১৪৪ ধারা জারি করা আবশ্যক বলে জানায় প্রশাসন। এ আদেশ আজ সোমবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১টা পর্যন্ত কার্যত থাকবে।
রাজৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহফুজুল হক বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলার স্বাভাবিক রাখতে ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এই আদেশ অমান্য করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই দুই গ্রামের বাসিন্দারা আজও (সোমবার) সংঘর্ষে জড়ানোর পরিকল্পনা ছিল। তাই দুই পক্ষের সঙ্গেই আমরা কথা বলেছি। তাদের নিয়ে আমরা বসবো। তাদের সমস্যা জানবো। তারপর আগামীকাল থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইউএনও আরও বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মোতাবেক রাজৈর বাজার, পশ্চিম রাজৈর, বদরপাশা এবং গোপালগঞ্জ এলাকায় এক বা একাধিক ব্যক্তির চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, মাইকের ব্যবহার, লাঠিশোটা বা যেকোন প্রকারের আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। দায়িত্ব পালনরত আইন-শৃংখলা বাহিনী ও জরুরি সেবা প্রদানে নিয়োজিতদের ক্ষেত্রে এ আদেশ শিথিল থাকবে। উল্লেখ্য, আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজৈর উপজেলার বেপারীপাড়া মোড়ে বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুরসহ পশ্চিম রাজৈর গ্রামের ১২টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এর আগে গত শনিবার (১২ এগ্রিল) রাতেও এই দুই গ্রামবাসী প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতেও ৮ পুলিশসহ ২৫ জন আহত হন।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফের সংঘর্ষে বন্ধে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। দুই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা একত্রে কাজ করছি।
এফএইচ/