দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মসুরগাঁও এলাকায় মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় নারী ও শিশুর মরদেহের পরিচয় মিলেছে।
নিহতরা হলেন- বরিশালের হিজলা থানার বাসিন্দা তানিয়া আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে রাবেয়া (৪)।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে গোসাইরহাট থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তীতে বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়লে নিহতের পরিবারের সদস্যরা এসে তাদের পরিচয় শনাক্ত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদী শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ওই নদী দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী নৌযান ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুরে যাতায়াত করে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মসুরগাঁও এলাকায় স্থানীয়রা নদীর তীরে এক নারী ও এক শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় জেলেরা পুলিশকে জানান। গোসাইরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল ১০টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। পরিচয় শনাক্তের জন্য আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনরা থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলম বুধবার (১২ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল বিকেলেই আমরা নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হই। তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। এ ঘটনায় তানিয়া আক্তারের বাবা দুলাল হাওলাদার বাদী হয়ে মেয়ের জামাই আব্দুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সকালে মরদেহ দুটি নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।
আরএ