দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুযায়ী সরকারী কোনো প্রতিষ্ঠানে ‘অফিস সহায়ক’ পদে নিয়োগের জন্য স্বীকৃতবোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশনা গোপন করে অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতা দেখিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এ কাণ্ড ঘটিয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বিতর্কিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা উ চিং মং।
সম্প্রতি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন জেলা ক্রীড়া অফিসারের কার্যলয়ের জন্য ১০ গ্রেড অনুযায়ী অফিস সহায়ক পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসনিক দপ্তর। পরে বিষয়টি ধরা পড়ে চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই’র হাতে। বিতর্কের পর সীদ্ধান্ত বদল করে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় প্রশাসনিক এই কর্মকর্তার দুবর্লতা আবারও প্রকাশ পেয়েছে।
ওই পদে আগ্রহী কয়েকজন প্রার্থী দেশ টিভিকে জানান, অষ্টম শ্রেণি পদের জন্য প্রার্থী বেশি হয়। আর প্রার্থী বাড়লে প্রশাসনিক কর্মকর্তার অনিয়ম করার সুযোগও তৈরি হয়। যার কারণে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন উ চিং মং।
জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভাগীয় কয়েকজন কর্মকর্তা দেশ টিভিকে জানান, প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওই পদে থেকে উ চিং মং দম্ভ করে বলে বেড়াচ্ছেন, ‘প্রশাসনের স্বার্থে তাকে এই পদে রাখা হয়েছে।’ তিনি বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর খবরদারি করেন প্রায় সময়ই। কখনও সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি মানেন না তিনি।
জানা গেছে, উ চিং মং বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুরো জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করতেন। দপ্তরগুলোর নিয়োগ ও বাজেট সবকিছু তার হাত দিয়ে না করলে কর্মকর্তাদের শাসাতেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ৫ আগস্ট দেশে পট পরিবর্তনের পর সরকারি অফিসগুলোতে দুর্নীতিবাজর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দপ্তর সংষ্কার হলেও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে এই কর্মকর্তারা রয়েছেন এখনও বহাল তবিয়তে। গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এখনও বিতর্কিত প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
সম্প্রতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু কর্মকর্তার পদ পুনঃবন্টন করা হবে।’
এদিকে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে গত দুইদিন ধরে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তী সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে হোয়্যাটসআপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
আরএ