সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ভাগ্নে মাজহারুল ইসলামের (২৩) হামলায় আহত হয়ে মামা কাঞ্চন মিয়া (৬২) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে একই দিন দুপুরে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাঞ্চন মিয়া পোড়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষক। আর অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাচালক।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, মাজহারুল গত দুই বছর আগে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রীর সাথে মা মাজেদা খাতুনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলছিল। মাজহারুলও তার স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করে আসছিলেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে মাজহারুলের স্ত্রী ও তার মায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঝগড়া বাঁধে। এ সময় মাজহারুল স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে মাকে মারধর করেন। পরে মাজহারুলের মা কাঁদতে কাঁদতে তার ভাই কাঞ্চন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান। এ সময় কাঞ্চন মিয়া তার বোনকে সাথে নিয়ে বোনের বাড়িতে এসে ভাগ্নে মাজহারুলের কাছে বিষয়টি জানতে চান। এতে মাজহারুল ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে মামার ওপর হামলা চালান। এতে কাঞ্চন মিয়া গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
এদিকে কাঞ্চন মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা মাজারুলের বাড়িতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে মাজহারুল ইসলামের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কাঞ্চন মিয়ার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আরএ