সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন সুইট ও তার ছোট ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজার বিচার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাঘাটাবাসীর আয়োজনে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মোশারফ হোসেন সুইট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মানববন্ধন শেষে সুইট ও আওয়ামী লীগ দোসরদের বিচার দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়ক অবরোধ করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন- সাঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরশাদ আজিজ রোকন, অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, সাঘাটা ইউপি সদস্য গোলাম ব্যাপারী, সাবেক মেম্বার সফর আলী, জাহিদ হোসেন, জুয়েল রানা, সোহাগ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী দিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা ও মুখে কাঁপর বেঁধে নিষিদ্ধ অস্ত্র দিয়ে ছাত্র হত্যায় জড়িত ছিলেন সাঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট এবং তার ভাই সুজাউদদৌলা সুজাসহ তার পালিত সন্ত্রাসীরা। এর সকল অর্থ দাতা স্থানীয় এনজিও এসকেএসফাউন্ডের নির্বাহী পরিচালক রাসেল আহম্মেদ লিটন। সুইট-লিটন তারা চাচাতো ভাই। লিটনের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের ভূমি দখল করে সেখান থেকে বালু বিক্রি করে বছরে কোটি কোটি আয় করেন সুইট।
বক্তারা আরও বলেন, সুইট-সুজা নিজেদের অবৈধ সম্পদ রক্ষা ও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে কখনো জাতীয় পার্টি আবার কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। তার নিজস্ব গুণ্ডাবাহিনীর সদস্য প্রায় ২০০ জন। তাদের অত্যাচারে পুরো উপজেলাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের ভয়ে কথা বললেই তাদের নিজস্ব আদালতে তুলে নেওয়া হয়। সেখানে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাঘাটা-ফুলছড়ির সাবেক এমপি মাহমুদ হাসান রিপনকে তারা ক্ষমতার প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করতেন। আওয়ামী লীগের সেল্টারেই দুই ভাই তাদের নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা প্রায় বিলুপ্ত হলেও সাঘাটার ওদের দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি। তাই অচিরেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন শেষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনী ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি দেন তারা।
আরএ