সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
যশোরের অভয়নগরে বাবার মৃত্যুর ১২ বছর পর একই স্থানে একইভাবে মারা গেলেন পুত্র সুজল সরকার (২৫)। বিদ্যুৎচালিত সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান তিনি।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হরিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সুজল সরকার মৃত উজ্জল সরকারের ছেলে। সে পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।
নিহত সুজল সরকারের বন্ধু অনিক রায় জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে সুজলের বাড়ির পাশে থাকা সেচযন্ত্র চালু করবে বলে তাকে আসতে বলেন। তার আসতে দেরি হওয়ায় সুজল নিজেই বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনিক দেখতে পান একটি তারের সঙ্গে লেগে সুজল পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে জানালে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। এরপর সুজলকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০১৩ সালে এই একই স্থানে একই কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান সুজলের বাবা উজ্জ্বল সরকার। তারপর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, মাছের একটি ঘের জলাবদ্ধ ছিল। সুজল সেখানে অন্যের সেলো মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচে বোরো ধান আবাদ করেছিল। সম্প্রতি বাবার নামে থাকা সেচযন্ত্রের বৈদ্যুতিক সংযোগটি পল্লী বিদ্যুতে আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ফিরে পান সুজল সরকার। রোববার সকাল ১১টা থেকে তার নিজের চাষ করা ক্ষেতে অতিরিক্ত পানি সেচে বের করার জন্য বিদ্যুতের তার টানছিল। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে সে বিদ্যুতায়িত হয়।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রকিবুল ইসলাম জানান, সুজল সরকারকে মৃত অবস্থাতেই দুপুর ১টা ১০ মিনিটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমাদুল করিম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
/অ