সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরে ওবায়দুর খান (২৮) নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
শনিবার(১১ জানুয়ারি) বিকালে প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা।
এ ঘটনায় জড়িত উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও তার ভাই খায়রুজ্জামান খাজাসহ আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান পরিবার ও বিক্ষুব্ধ জনতা।
এদিকে, বিকালে মরদেহটি কানাইপুরে পৌচ্ছালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। এ সময় কয়েকশত বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে তারা সড়কে বসে পড়েন। এ সময় দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যানের হুকুমে তার ভাই খাজা বাহিনীরা ওবায়দুরকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে। এর সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
নিহতের বাবা বিল্লাল খান বলেন, আমার ছেলেকে তুইল্যা নিয়ে মাইর্যা ফেলায়ছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। ওর (খাজা) ফাঁসি না হলে আরও মানুষ মরবে। তিনি মোবাইলে খায়রুজ্জামান খাজার ছবি দেখিয়ে বলেন, ও (খাজা) আর আলতাব চেয়ারম্যান অর্ডার দিয়েই আমার ছেলেকে মারছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত খাজা। তার নামে এলাকায় খাজা বাহিনী গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের আমলে কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় ছিলেন তিনি। তৎকালীন সময়ে ওই নেতার হস্তক্ষেপে একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি থেকে খালাস পান বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরে এলাকায় ফিরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। ৫ আগস্টের পরে জেলা বিএনপির এক নেতার সমর্থক পরিচয়ে পুনরায় ত্রাসের রাজত্ব শুরু করেন। তার দলে না ভিড়লে হুমকি-ধমকিসহ করা হয় নির্যাতন।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, মরদেহ দাফন শেষে পরিবারকে থানায় আসতে বলা হয়েছে, রাতেই হত্যা মামলা নেয়া হবে। এছাড়া জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে নিহত ওবায়দুর খানকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই খায়রুজ্জামান খাজার বিরুদ্ধে। এ সময় তার দুই চোখে পেরেকে ঢুকিয়ে খোঁচানো হয় এবং একটি পায়ের রগ কেটে ভেঙে ফেলা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
কে