সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নেত্রকোনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জেলা কমিটির নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল বের করার ঘটনায় ৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে স্থানীয় এনজিও কর্মী চিন্ময় সরকারকে (২৭) আটক করে পুলিশ। পরে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ অবস্থায় দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন তারা। তবে চিন্ময় সরকারের পরিবারের দাবি, চিন্ময় কখনও ছাত্রলীগ করেনি। কোনো পদ-পদবীতেও নেই। তাই নির্দোষ চিন্ময়কে যেন দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী জেলা শহরের তেরীবাজার মোড় থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। খবর পেয়ে পুলিশ যাওয়ার আগেই সরে যান মিছিলকারীরা। পরে মিছিলের ভিডিও দেখে অভিযান চালিয়ে ৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে এনজিও কর্মী চিন্ময় সরকারকেও আটক করে থানা পুলিশ।
পরে ওইদিনই স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ চিন্ময় সরকারকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বলে দাবি করে। সে অনুযায়ী গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়।
চিন্ময় সরকার নেত্রকোনা জেলা শহরের নাগড়া বাড়ইপাড়া এলাকার বাবুল সরকারের ছেলে। চিন্ময় বর্তমানে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের ২০১৭ ও ২০২১ সালে গঠিত দুটি কমিটি যাচাই করে সহ-সভাপতির পদে চিন্ময় সরকারে নাম পাওয়া যায়নি। এমনকি গত ৩ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ভিডিওতেও চিন্ময়কে দেখা যায়নি।
চিন্ময় সরকারের বাবা বাবুল সরকার বলেন, আমার ছেলে চিন্ময় একটি এনজিওতে চাকরি করে। অথচ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সে কখনও ছাত্রলীগের রাজনীতি করেনি। সহ-সভাপতি তো দূরে থাক কমিটিতে সদস্য পদেও তার নাম নেই।
তিনি আরও বলেন, চিন্ময় গত ২ জানুয়ারি তার মোহনগঞ্জ অফিসের কাজ শেষে রাতে নেত্রকোনার বাসায় ফিরে। সেদিন রাতে সে বাসাতেই ছিল। শহরে ছাত্রলীগের মিছিল হয়েছে সকাল ৭টার দিকে। এ সময় আমার ছেলে বাসায় ঘুমে ছিল। ৩ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে শহরের ছোটবাজারে মোবাইল ফোন ঠিক করতে গেলে পুলিশ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে থানা থেকে মোবাইল ফোনে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়। আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি আমার ছেলের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
এ বিষয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি শাহ মো. জুনায়েদ জানান, চিন্ময় সরকার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি না। কমিটির কোনো পদেই তার নাম নেই। পুলিশ এখন নিজের মতো যা ইচ্ছে তাই করছে।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মীর্জা সায়েম মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে, জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান বলেন, বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে