সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সদরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলামকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) নিহত এসআই শফিকুলের বাবা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছি আমরা। আশা করি, দ্রুতসময়ে তাদের ধরতে পারব।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বাড়িতে নিহত এসআই শফিকুলের জানাজা শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ সময় ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের একদিন পেরিয়ে গেলেও জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার ও প্রকৃত কারণ উদযাঘটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজন।
নিহতের ছেলে রাফিউল ইসলাম বলেন, যারা আমার বাবাকে হত্যা করে আমাকে এতিম করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তাদের ফাঁসি চাই।
পুলিশ ও পরিবারের বরাতে জানা গেছে, এসআই শফিকুল ইসলাম জামালপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত। তিনি গত ৮ জানুয়ারি ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দুর্গাপুর পৌরশহরে বসবাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা রাতে তিনি কেনাকাটা করতে বাসা থেকে বের হন। এ সময় পথে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানেই তিনি মারা যান।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখনও হত্যার রহস্য উদযাঘটন করা সম্ভব না হলেও কাজ চলছে। খুব দ্রুতই তা উদযাঘটন হবে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এফএইচ/