সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরে প্রতিপক্ষের নির্যাতনের শিকার হয়ে ওবায়দুর খান (২৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে পদ্মা সেতু এলাকায় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই রাজিব খান।
নিহত ওবায়দুর কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে। তিনি কৃষিকাজে নিযুক্ত ট্রাক্টর চালক ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে কানাইপুর বিসিক শিল্পনগরীর কাছে তেলের পাম্পে মোটরসাইকেলের তেল কিনতে যান ওবায়দুর খান। এসময় খায়রুজ্জামান খাজার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল তাকে তুলে নিয়ে ফরিদপুর জুট ফাইবার্সের পেছনে নিয়ে তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। তার দুই চোখে লোহার পেরেক দিয়ে খুঁচিয়ে আঘাত করা সহ বাম পা ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যায়।
নিহত যুবকের ভাই রাজীব খান বলেন, ওবায়দুরের থানার এক দারোগার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। খায়রুজ্জামান খাজা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী হিসেবে সকলেই চিনে। আমার ভাই তার কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করত। এছাড়া খাজা আমাদের বিরোধীপক্ষ। বিভিন্ন সময় তার পক্ষে মেশার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসতো। এসব কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়। রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খায়রুজ্জামান খাজার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
ট্রমা সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাহিরা হোসেন জানান, ওবায়দুরের দুই চোখ ও মাথায় আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া তার বাম পা ভেঙে ফেলা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, ওবায়দুর পুলিশের ইনফর্মার হয়ে কাজ করার কারণে তার উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএইচ/