সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুকের বিরুদ্ধে আবুল খায়ের নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত বৃদ্ধা বর্তমানে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ফুলগাজী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আবুল খায়ের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ফুলগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুকের এক ভাগনিকে গ্রামবাসী পরকীয়া প্রেমিকসহ ঘরের মধ্যে আটক করেছিল। সেদিন সেখানে আবুল খায়েরও ছিলেন। এসবের জের ধরে ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাশুড়া এলাকায় রাজ্জাকের স’ মিলের সামনে আবুল খায়েরকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়েছে।
ভুক্তভোগী আবুল খায়ের বলেন, ফারুকের এক ভাগনিকে গ্রামবাসী পরকীয়া প্রেমিকসহ ঘরের মধ্যে আটক করেছিল। এ ঘটনার জের ধরে সে আমাকে তার মোটরসাইকেল ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগ দেয়। পরে দলবল নিয়ে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ফারুক বাশুড়া এলাকায় রাজ্জাকের স’ মিলে আমার মেয়ের জামাইকে মারধর করতে যান। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ফারুক অন্যদের নিয়ে স’ মিলের কাঠ দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে আমি হৃদরোগে আক্রান্ত বলে আর মারধর না করতে অনুরোধ করলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি। অতর্কিতভাবে মেরে আমাকে জখম করেছে।
আবুল খায়েরের মেয়ে বিবি কুলছুম বলেন, আমার নিরপরাধ বাবাকে তারা এভাবে মারধর করে জখম করেছে। ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করলেও তিনি (ফারুক) বিএনপির বড় নেতা হওয়ায় প্রশাসন এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত ফুলগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুক বলেন, তার (আবুল খায়ের) সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত দুদিন আগে এক ব্যক্তি আমার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। আমি তাকে খোঁজতে ওইদিক গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন হঠাৎ আবুল খায়ের এসে আমার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। একপর্যায়ে আমি ধাক্কা দিলে তিনি গাছের চিপায় পড়ে যান। পরে সেখানে তাকে কে বা কারা মারধর করেছে বিষয়টি আমি জানির না।
এ বিষয়ে ফুলগাজী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে অভিযুক্ত ফারুককে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি। মারধরের শিকার ওই ব্যক্তিও আমাদের দলীয় লোক। বিষয়টি নিয়ে ফারুককে বলেছি দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করতে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় মো. ফারুককে প্রধান করে আরও তিন জনকে আসামি করে ফুলগাজী থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- বাশুড়া গ্রামের হকু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া গ্রামের শফিক মিয়া ও তার মেয়ে মায়া আক্তার।
এ বিষয়ে ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরএ