সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাদারীপুর মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধারা মিলে মাদারীপুর সরকারি কলেজের সামনে শহীদ সরোয়ার হোসেন বাচ্চুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে একটি বিজয় র্যালি করেন মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ।
মাদারীপুরের সমাদ্দার এলাকায় টানা তিনদিন পাক-বাহিনীর সাথে অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধরা। অবশেষে ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়লে পাকসেনাদের খাদ্য ও গোলাবারুদের রসদ ফুরিয়ে গেলে আত্মসমর্পন করে। এতে মুক্ত হয় মাদারীপুর জেলা।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা উন্নত অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ‘সমাদ্দার’ এলাকায় পাক সদস্যদের ঘিরে ফেলে। থেমে থেমে চলতে থাকে যুদ্ধ। ৯ ডিসেম্বর দিন-রাত তুমুল যুদ্ধের পর পাকসেনাদের বাংকারে খাদ্যের রসদ ঘুরিয়ে গেলে ১০ ডিসেম্বর তারা সাদা পতাকা তুলে সন্ধির প্রস্তাব দেয়।
তারা আরও জানান, অবশেষে সন্ধ্যার দিকে পাকবাহিনীর মেজর ঘটক মুক্তিযোদ্ধা মেজর খলিলের নিকট তার ক্যাপ, বেল্ট ও পিস্তল খুলে জমা দেন ও আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পন করেন। এ সময় ৩৯ জন পাকসেনা ও ১৫ জন রাজাকার আত্মসমর্পন করেন। মুক্ত হয় মাদারীপুর জেলা।
আরএ