সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে হা হা রিয়েক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফেনীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ৪ জন কিশোর আহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ফেনীর সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরতর আহত দুই জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে মো. অমিত হাসান (১৮), এয়াকুব মিয়ার ছেলে জিসান (১৭) সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরীফুল ইসলাম (১৭), মো. শাহীনের ছেলে রিজন (১৬)। আহতরা সবাই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী বলে জানান যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে অমিত হাসানের ফেসবুক পোস্টে হা হা রিয়েক্ট দেয় নিলয় নামে একই এলাকার এক কিশোর। শুক্রবার রাতে সোনাপুর ইসলামি সেন্টারের সামনে অমিত হাসানসহ ৬/৭ জন কিশোর নিলয়কে হা হা রিয়েক্ট দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডে জড়িয়ে যায় নিলয় ও অমিত। ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে পকেট থেকে টিপ ছুরি বের করে অমতিসহ বাকীদের ওপর হামলা করে নিলয়। এতে অমিতসহ ৪ জন আহত হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় রিজন ও শরীফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ রেফার্ড করা হয়েছে। বাকী দুইজন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল্লাহ আল মামুন শাহী বলেন, বিগত সরকার আমলে নিলয়ের সঙ্গে অমিতের ঝামেলা হয়েছিল। সেটার রেশ ধরে নিলয় কিছুদিন আগে অমিতের ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া একটা পোস্টে হা হা রিয়েক্ট দেয়। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পশ্চিম সোনাপুর ইসলামি সেন্টারের সামনে তার সঙ্গে দেখা হলে হা হা রিয়েক্টের কারণ জিজ্ঞেস করলে নিলয় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বাকবিতন্ডের এক পর্যায়ে প্রথমে অমিতকে এবং পরে আমাদের ওপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালায়। শোরগোল শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে নিলয় পালিয়ে যায়।
আহত রিজন বলেন, আমরা কেউ তাকে (নিলয়কে) কিছু বলিনি। অমিত ভাই শুধু জিজ্ঞেস করেছে কেন হা হা রিয়েক্ট দিয়েছ। এতেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুর রহমান বলেন, আহত ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্য একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান।
এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত নিলয়কে আটকে পুলিশ কাজ করছে।
এফএইচ