সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সুন্দরবনের অপূরনীয় ক্ষতি করছে বাগেরহাটের রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদীর দূষণে মারা যাচ্ছে জলজপ্রাণী। পশুর নদীতে বিষাক্ত পারদের মাত্রা এখন অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে দশগুন বেশি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য বড় হুমকি। এখনই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ না করলে সুন্দরবন মরুকরণ সৃষ্টি হবে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে এখনই রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের মোংলার কানাইনগর গীর্জা মাঠে পশুর নদী ও সুন্দরবন সুরক্ষা এবং জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের যৌথ আয়োজনে জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়কারী পরিবেশকর্মী মোঃ নূর আলম শেখ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়কারী শরীফ জামিল,রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, পরিবেশকর্মী ইবনুল সাঈদ রানা, মুশফিক আরিফ, সার্ভিস বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন প্রমুখ।
শরীফ জামিল বলেন, ২০১০ সালের আগে পশুর নদীতে ১লিটার পানিতে মাছের ডিমের সংখ্যা ছিলো যেখানে ৬হাজারের উপরে সেখানে এখন ৩হাজারেরও কম পাওয়া যায়। পশুর নদীর উভয় তীরে ভাঙনের ফলে দাকোপ ও মোংলা উপজেলার বাণীশান্তা, চিলা এবং চাঁদপাই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পশুর নদী দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে পরিস্থিতি লক্ষণীয়ভাবে খারাপ হয়েছে। জনসমাবেশে বনজীবি-জেলে-বাওয়ালী-মৌয়ালী-নারীসহ কয়েক হাজার জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তু সুন্দরবন উপকূলীয় জনগোষ্ঠী উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচ