সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দুই ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ নগরীর কীটনাশক তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে। তার আগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কারখানাটি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। তবে আগুনের সূত্রপাত এবং কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ।
সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর বিসিক শিল্প নগরীর একটি কীটনাশক তৈরির কারখানার গুদামে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে। স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। পরে ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আরও সাথে যুক্ত হয় ৭টি ইউনিট। মোট ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট বেলা ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আশপাশে পানির সুব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পোহাতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে কারখানার পাশেই বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচন্ড কালো ধোয়া দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে দেখি কীটনাশক তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। আমারা তা নেভানোর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। ততক্ষণে আগুনের প্রচন্ড ভয়াবহতা দেখতে পাই। করাখানার ভেতরে থাকা ড্রামগুলো প্রচন্ড বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছিল। যাই হোক আগুন আশপাশে পুরোপুরি ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আসে।
বালাইনাশকের ময়মনসিংহের এরিয়া ম্যানেজার হারুন অর রশিদ বলেন, কীটনাশক তৈরির সকল ধরণের দ্রব্য এই কারখানায় রাখা হতো। সেটি সারাক্ষণ তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকতো। ভেতরে প্রচুর মালামাল ছিল। শুধু একটি বৈদুত্যিক বাল্ব জ্বালানো থাকতো সারাদিন। আর একজন গার্ড সেটি পাহারা দিতো। তবে আগুন কিভাবে লেগেছে তা বুঝতে পারছি না।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বলেন, কীটনাশক তৈরির কাঁচামাল সংরক্ষণ করে পাশের কারখানায় প্যাকেজিং করা হতো। এসব কাঁচামাল ব্যয়বহুল। তা বিভিন্ন দেশ থেকে সংরক্ষণ করা হতো। গুদাম ভর্তি মালামাল ছিল। কীটনাশক তৈরির দাহ্য পদার্থে হঠাৎ আগুন লাগলে মুহুর্তেই তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কারখানাটি পুরোপুরি ভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা হিসেব না করা বলা যাবে না।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপ—পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পানি এবং ফোমের সাহায্যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা। কীটনাশকের কারখানা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে যেহেতু কারখানাটি কেমিক্যালের নিজে নিজে উত্তপ্ত হয়ে আগুন লাগতে পারে। তবে সেটি তদন্তের পরই সঠিক ভাবে বলা যাবে।
এফএইচ