সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে কুমিল্লায় পালিত হলো আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, নারী অধিকার কর্মী এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এদিন সকালে কুমিল্লা নগরীর টাউনহল চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে নজরুল ইন্সটিটিউটের সামনে এসে শেষ হয়। এসময়, র্যালিতে সইবো না তো আমরা আর নারীর দেহে অত্যাচার, সবাই মিলে বাঁধবো জোট, বাল্য বিবাহ করবো রোধ ইত্যাদি স্লোগান তুলে। পরে নজরুল ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘বিচারের নামে অবিচার হয়, নারী কোথাও নিরাপদ নয়’। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এনজিও সমাজ।
এসময় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মাহফুজা মতিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নারীরাই সভ্যতার উদ্ভাবন ঘটিয়েছিল।আর সেই সভ্য জাতিরাই নারী নির্যাতনের জন্য প্রতিবাদ দিবস পালন করতে হয়। এটা লজ্জাজনক। শিক্ষা ও আত্মনির্ভরশীলতা আমাদের নারীরা নির্যাতনের শিকার হওয়া থেকে পরিত্রাণ পেতো। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিশুদেরকে সামাজিক শিক্ষা দিতে হবে। আমরা প্রত্যেককে আহ্বান জানাবো, আপনারা নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন। নারীর প্রতি নির্যাতন তখনই কমবে যখন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইনগুলো যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই নারী নির্যাতন কম হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে প্রথমবারের মতো ল্যাটিন আমেরিকায় দিবসটি পালিত হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ দিবসটিকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
আরএ