সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
একটি বেসরকারি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে আরব আমিরাত (দুবাই) পালিয়ে গেছে আকরাম শেখ নামের এক যুবক। এতে লাভের আশার নানাভাবে লাখ লাখ টাকা জমা রেখে প্রতারিত হয়ে পথে বসেছে শতাধিক পরিবার। প্রতারিতদের দাবি, এক বছর আগে তারা প্রতারণার শিকার হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ক্ষমতার দাপট ও হুমকিতে আইনের আশ্রয় নিতে পারেননি তারা। পট পরিবর্তনের পর ওই আওয়ামী লীগ নেতা গা-ঢাকা দেওয়ায় তারা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে প্রাথমিকভাবে তদন্তে সত্যতা মিলেছে দাবি করে পুলিশ বলছে, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নিজের পরিচালিত “বিগ বাজার” নামের একটি দোকানের সঙ্গে লাগোয়া একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। আশেপাশের এলাকার মানুষকে প্রলুব্ধ করে অতি মুনাফার প্রলোভনে ফেলে লাখ লাখ টাকা জমা নেন। কিন্তু ওই টাকা ব্যাংকে জমা দেননি তিনি। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের আগস্টে এসব অভিযোগ উঠলে আউটলেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রতারিতরা জানান, এক লাখ টাকা জমা রাখলে প্রতি মাসে দ্ইু হাজার বা আরও বেশি টাকা দেওয়ার প্রলোভনে দেড় থেকে দুই শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি বা আরো বেশী টাকা হাতিয়ে নেন আকরাম শেখ নামের ওই যুবক। এ বিষয়ে ব্যাংকে হাজির হলে তাদের নামে কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি বলে জানতে পারেন তারা। অত:পর দেখা যায় অনেক গ্রাহককে রশিদ হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠান “বিগ বাজার” এর চেক বইয়ের পৃষ্ঠায় টাকার অংক লিখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারিতরা আরও জানান, বিষয়টি অবগত হওয়ার পরও স্থানীয় গেরদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারেজ মিয়ার হুমকি ও চেয়ারম্যান এমআর হকের আশ্বাসে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ঘা-ঢাকা দেওয়ায় এখন আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন তারা। অপর দিকে কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত আকরাম শেখও গোপনে পালিয়ে দুবাই চলে যায়।
তবে ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয় বলে দাবি করেন অভিযুক্ত আকরাম শেখের মা ও বাবা। তারা জানান, ব্যাংকের নয় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম বলেই টাকা নিয়েছিল। তারা দাবি করেন, টাকা নিয়ে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করলেও লোকসান হওয়ায় সমস্যা হয়ে গেছে। তবে আস্তে আস্তে এসব টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হবে বলে দাবি তাদের।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার এক নারী বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, এবং প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে।
তিনি জানান, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতারণার শিকার আরও কেউ অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএইচ