সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আদালত যখনই চাইবে তখনই শেখ হাসিনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ভারতকে আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে নীলফামারী বড়মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এছাড়াও তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সু-প্রতিবেশী সুলভ আচরণ পেতে চাই ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালের ১০জানুয়ারী ক্ষমতায় আসার পরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর। ক্ষমতার দুই মাসের মধ্যে তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তরে চৌকস ৫৭জন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশ ভাসিয়ে দিয়েছিলেন পিলখানার ড্রেনের মধ্যে। রাতে বাতি নিভিয়ে ঘাতকদেরকে পিলখানা থেকে পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘাতকদের পরিচয় জাতিকে জানতে দেয়া হয়নি, ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনের পর ১০জানুয়ারী করাচির কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশে আসেন। তিনি ফিরে এসে এদেশের দায়িত্বভার গ্রহন করেছিলেন। তার শাসন আমলে ৭১ সালে যারা বিভিন্ন অপরাধ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সে সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার দফায় দফায় ১৯৫জন যুদ্ধাপরাধীকে নিবার্চন করেছিলেন। যার মাঝে বর্তমান এই বাংলাদেশের কারো নাম উল্লেখ ছিল না। যদি সত্যিই জামায়াতে ইসলামীর কোন লোক সে সময়ে জড়িত থাকতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হতো। তারা অন্যায়ভাবে প্রায় ৪২বছর পর জমায়াতের ১১ জন নেতাকে ফাঁসির নামে হত্যা করেছে।
জামায়াতের আমির বলেন, আওয়ামী লীগ জাতিকে ধোকা দিয়েছে, তারা জাতির ওপর জুলুম করেছে, মানুষ খুন করেছে, গণহত্যা সংগঠিত করেছে, মানুষ গুম করে আয়না ঘর তৈরী করেছে, হাজারো মায়ের বুক খালি করেছে, ঘর-বাড়ি তচনছ করেছে, মানুষের ইজ্জতের ওপর হামলা করেছে আর অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর সমস্ত অফিসগুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে। ঘরের মাঝেও আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দেয় নাই। তারা বিভিন্ন সময় আমাদেরকে ধরে এনে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় যুক্ত করেছে। আমরা চাই না বিনা বিচারে একজন মানুষকে হত্যা করা হোক। আর প্রতিটি অপরাধের বিচার হওয়া দরকার। বিচার না হলে অপরাধ প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা দূর্নীতি করবো না আর কাউকে দূর্নীতি করতেও দিবো না।
এছাড়াও ৫আগষ্ট পরবর্তী পট পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টানেন ডা. শফিক, ফ্যাসিস্ট পতনের পর রক্তপাত এড়াতে দেশবাসী যে ধৈর্য্য ধারন করেছেন তারও প্রশংসা করেন জামায়াতের আমির।
সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুস সাত্তার সভাপতিত্ব করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, রংপুর বিভাগীয় সেক্রেটারী মাওলানা হাবিবুর রহমান বেলাল, রংপুর টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, জেলা বিএনপির সভাপতি আখম আলমগীর সরকারসহ আরও অনেকে।
এফএইচ