সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানোর সাত দিন পর সাইদুর রহমান বাবু (৪৫) নামের এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান নাটোর সদর থানার পরিদর্শক মো. মাহাবুর রহমান।
সাইদুর রহমান নাটোর সদরের দরাপপুর এলাকার প্রয়াত মতিন মাস্টারের ছেলে। তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা নিহত সাইদুর রহমানের ভাই শহিদুল ইসলাম নান্নু বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন সাইদুর রহমানসহ আমাদের বাড়িঘরে হামলা হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলাম আমরা। গত ৩০ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে দরাপপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাইদুরকে ধরে দরাপপুর বাজারে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যেই তাকে রড ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিন বিকেলে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
দরাপুরের স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পেশায় মাছচাষি হলেও সাইদুর রহমান বিগত সরকারের আমলে বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছেন। অনেককেই গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে অর্থ আদায়ের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে সাইদুরের ওপর স্থানীয়দের ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কর্মীরা জানান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গালের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে সাইদুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গালের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পুলিশ কর্মকর্তা, মাহবুর রহমান, মারধরের বিষয়টি সেসময় আমাদের কেউ জানায়নি। আজ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের কথা। আমরাও অভিযোগের অপেক্ষায় রয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।