সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গত ৪ আগস্ট শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র মাহবুবসহ ৪ জন ছাত্র হত্যা এবং ঢাকার মিরপুরে নালিতাবাড়ীর গার্মেন্টকর্মী আসিফ হত্যা মামলার আসামি নালিতাবাড়ীর ৪টি ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভা করায় ইউএনও মাসুদ রানার অপসারণ দাবি করেছে নালিতাবাড়ী বিএনপি। একই সাথে ওইসব মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি করে তারা বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য এসিল্যান্ডেরও অপসারণ দাবি করেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে নালিতাবাড়ী উপজেলা কার্যালয়ে জেলার বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমীনের নেতৃত্বাধীন নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
এসময় তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ মেঘমালায় উপজেলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। ওই সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেরপুর ও ঢাকায় নিহতের ঘটনায় যাদের আসামি করা হয়েছে, এরমধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলার ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান রয়েছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তারা দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। এরপরও ওইসব মামলার পলাতক আসামিদের ফোনে ডেকে এনে ইউএনও সমন্বয় সভা করেন। বিষয়টি জানার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন এবং আলোচনা সাপেক্ষে বিক্ষোভ মিছিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ওই বিক্ষোভের আহ্বান করার পরই তা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ইউএনও ‘বালু উত্তোলনকারী ও বালু উত্তোলনবিরোধী দুইপক্ষের মিছিল হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে’ মর্মে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বা আমাদের কেউ বালুর সাথে জড়িত নয়। বালু উত্তোলনকারীদের পক্ষে-বিপক্ষে এমন কোনো কর্মসূচিও ছিল না। শুধুমাত্র আমাদের বিক্ষোভ মিছিল ঠেকাতে মিথ্যা গল্প বানিয়ে মূলত তিনি আসামিদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছেন।
এসময় তিনি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হত্যা মামলার আসামিদের পুনর্বাসিত করার চেষ্টাকারী ইউএনও’র অপসারণ দাবি করেন। একই সাথে এখনও হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, এটা বিএনপির দলীয় সংবাদ সম্মেলন নয়।
বিএনপির কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে একটা ছোট গ্রুপের সম্মেলন যার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা কম। যাদের বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের আসামি হওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত নয়। থানা বা কোর্ট হতে কোন এজহার কপি দেয়নি। মামলার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন অবহিত না হলে তারা সমন্বয় সভাতে উপস্থিত থাকার অধিকার রাখে। অপসারণ বিষয়ে আনীত অভিযোগটি ভিত্তিহীন। তবে মামলার এজাহার কপি হাতে পেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসিল্যান্ড তো সমন্বয় মিটিংয়ে থাকে না। তার কথা কেন আসবে? তার মানে বালুর অভিযানে তারা অসন্তুষ্ট।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুছ আলী দেওয়ান, ইসমাইল হোসেন, আমিনুল ইসলাম জিন্নাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএ