সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সাতক্ষীরায় তিন স্কুল ছাত্রীর বিয়েতে জল ঢেলে দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সাতক্ষীরার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ভারতেশ্বরী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে বাল্য বিয়েতে সাতক্ষীরার অবস্থান শীর্ষে। এই বেদনাদায়ক কাজটি সরকারি বেসরকারি সচেতনতামুলক কার্যক্রম চলে আসবার পরেও উদ্বেগজনক হারে তা বেড়ে চলেছে। (আজ) শুক্রবার এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরার তালা, সদর ও আশাশুনিতে ঘটতে যাওয়া বাল্য বিয়ের আয়োজনে জল ঢেলে দিয়েছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় ওইসব কন্যা শিশুদের জীবনে ভালো কিছু বয়ে আনবে। তাদের জীবনও রক্ষা পাবে। তালায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার এ আদেশ জারি করেন। এদিকে উক্ত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, শুক্রবার উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের সেনেরগাতী গ্রামের এর স্কুলছাত্রীর (১৬) বিয়ের আয়োজন ছিল। এ ব্যাপারে জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মো. সাকিবুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে গিয়ে হাজির হন তালার কিশোর কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটার প্রসেনজিৎ ঘোষ, সরুলিয়া ক্লাবের সংগীত শিক্ষক টুম্পা বিশ্বাস এবং পাটকেলঘাটা থানার পুলিশের একটা টিম। এ সময় উক্ত বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেয় এবং ঐ ছাত্রীর বাবা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে মুচেলকা প্রদান করেন।
এছাড়া দুপুরে আশাশুনির শ্রীকলা গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং সাতক্ষীরা শহরতলীর বাকালে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে হাতেনাতে আটক করে। এবং অভিভাবকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এই বিয়ের পুণঃচেষ্টায় অভিভাবকদের জেল জরিমানার মতো শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়ে দেন সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট প্রলয় বিশ্বাস।
এই বাল্য বিয়ের প্রতিরোধ কাজে সহায়তা করেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তাসরিনা খাতুন, লুৎফুন নাহার বিথী ও আজিবুর রহমান।
এফএইচ