সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নোয়াখালীতে শারদীয়া দুর্গাপূজার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রহর গুনছেন তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুরু করার। বুধবার ভোর হওয়ার সাথে সাথেই ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয়া দুর্গাপুজা। এদিকে পূজাকে উৎসব মুখর এবং নির্বিঘ্ন করার জন্য জেলা সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। এবার নোয়াখালীতে ১৮২টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলাতে স্মরণকালের বন্যার কারণে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও জলাবদ্ধতা থাকায় পূজার ওপর এ প্রভাব পড়ছে। একই সাথে বন্যার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণেও পূজাকে তেমন আড়ম্বর করতে পারেনি সনাতন ধর্মবলাম্বীরা। অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে পালন করা হচ্ছে দুর্গাপূজা।
ধীমান মজুমদার নামে একজন বলেন, প্রকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কারণে মণ্ডপগুলোতে আর্থিক অনুদান আমরা পায়নি। অন্যান্য অনেক অনুদান আসতো। কিন্তু এবার তেমন অনুদান অসেনি। যার কারণে আমরা শাস্ত্রিক পূজাটাই করছি।
টিটু মজুমদার নামে আরেকজন বলেন, বন্যার কারণে গ্রামের অনেক মণ্ডপে এখনও পানি আছে। মণ্ডপে যাওয়া আসার পথে জলাবদ্ধতা। যার কারণে পূজা আড়ম্ব করা যাচ্ছে না। অর্থিক কারণে অনেকটা দায়সারা ভাবেই পূজা পালন করছি।
নোয়াখালী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কিশোর চন্দ্র শীল বলেন, আয়োজন শেষ পর্যায়ে। এখন পর্যন্ত নোয়াখারীতে কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। প্রশাসনের সকল শ্রেণির লোকজন আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। সেনাবাহিনী, র্যাব টহলে রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যোগাযোগ রাখছে পূজা যাতে সফল ও স্বার্থক করা যায়। আশা করি পূজার পরেও এই সম্প্রীতি বজায় থাকবে।
জেলা পুলিশ সুপার আবদুলালাহ আল ফারুক বলেন, নোয়াখালী জেলা পুলিশ পূজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। প্রায় আট শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছে। গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও র্যাবের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। আশা করছি নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্টিত হবে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীর পূজা মণ্ডপগুলোতে চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। পূজাকে সফল করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপ কমিটির পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক কমিটি রয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টহলে থাকবেন। সেনাবাহিনী ও র্যাব টহলে থাকবে সার্বক্ষণিক। মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূজাকে উৎসবমুখর করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরএ