সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
১১ বছর আগে বগুড়ায় জামায়াতকর্মী মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী হয়েছেন নিহত মিজানুরের বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন।
নিহত মিজানুর রহমান কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরকারবাড়ী গ্রামের আবু কালাম সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়ায় মুরগির হ্যাচারিতে কাজ করতেন এবং পৌরসভার সাবগ্রাম মাস্টারপাড়ায় থাকতেন। এছাড়াও তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এজাহার ও ওসির বরাতে জানা যায়, মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজী জুয়েল, বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মুকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসসহ আরও অনেকে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আনুমানিক বেলা পৌনে একটার দিকে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম কমান্ড প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিজানুর রহমান। এ সময় আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিজানুরকে ঘিরে ধরেন। ১ নম্বর আসামি আল রাজি জুয়েলের হুকুমে ৫ নম্বর আসামি সম্পদ পশারী হত্যার উদ্দেশ্যে বার্মিজ চাকু দিয়ে মিজানুরের পেটে আঘাত করেন। পরে এজাহারের ৬ নম্বর আসামি হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। অন্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তাঁরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।’
এ প্রসঙ্গে বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, ২০১৩ সালে মিজানুর হত্যাকাণ্ডের সময় তার বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান সঙ্গে ছিলেন। তাই মোছাদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএইচ