সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রতিবছরই ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পদ্মী নদীর তীরবর্তী এলাকা। বিগত ৫০ বছর আগে থেকে পদ্মার ভাঙনে এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি পদ্মা ভাঙনে ঘরবাড়ি জমি জমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার পরিবার। এর মধ্যে বেশি ভাঙন হয়েছে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের অংশে। এই ইউনিয়নে ১৩ টি মৌজার ১২ টিই পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট রয়েছে গৌড়বড়দিয়া মৌজা। সে মৌজারও অবশিষ্ট অংশের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। সম্প্রতি কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ২ নং ও ৩ নং ওয়ার্ড এর পদ্মা নদী তীরবর্তী মালুচি ও কুশিয়ারচরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এতে নতুন করে নদী ভাঙনের আতংকে রয়েছে পদ্মাপাড়ের হাজারো মানুষ। ভাঙন ঝুঁকিতে কুশিয়ারচর গায়েনবাড়ি মসজিদ, হোসেন শাহের মাজার ও মালুচি মসজিদ ও অর্ধশতাধিক বাড়িঘর রয়েছে। স্থায়ী বেরি বাঁধের দীর্ঘদিনের দাবি স্থানীয়দের।
সম্প্রতি ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কয়েক বছরে পদ্মার ভাঙনে ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজাই পদ্মায় ভেঙে গেছে। পদ্মার ভাঙনে এ ইউনিয়নের ৭০-৭৫ শতাংশই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত তিন বছরে কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর ও বৌদ্ধকানিতে পদ্মার ভাঙনে শত শত বিঘা জমি ও বাড়িঘর ভেঙে গেছে। গত ১০-১৫ দিন ধরে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর থেকে শিবালয় উপজেলা শুরুর প্রান্তে মালুচী ঘাট এলাকায় তীব্র স্রোত এবং ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙন দেখা দিলে বালু ভর্তি জিও ব্যাগসহ কয়েক জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় নদী তীরবর্তী কৃষিজমির অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোত তৈরি হয়েছে।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম রূপক বলেন, ‘কয়েক বছরে পদ্মার ভাঙনে ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজাই ইতোমধ্যে পদ্মায় ভেঙে গেছে। এখন শুধু গৌড়বোরদিয়া মৌজা অবশিষ্ট আছে। গত দুই-তিন বছরে কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর ও বৌদ্ধকান্দিতে পদ্মার ভাঙনে শত শত বিঘা জমি ও বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পদ্মার পানির স্রোতে কয়েকদিন আগে বিল্লাল মেম্বাবের বাড়ির সামনে জিও ব্যাগ ধ্বসে গেছে। এখনো ৫০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ পড়েনি। বিষয়টি ফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও কে জানিয়েছি। ইউএনও মহোদয়ও জানেন।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান জানান, ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা কাঞ্চনপুরের কুশিয়ারচর ও মালুচি এলাকার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, হরিরামপুরের চরাঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য ভাঙন এলাকায়ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএইচ