সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী অরুন মিয়াকে (৭০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে বৃদ্ধ স্বামীর মরদেহ নয় টুকরো করে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে স্ত্রী। হত্যা করার পর স্বামী নিখোঁজ হয়েছে এমন অভিনয় করেন ঘাতক স্ত্রী।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুন মিয়া। হত্যার চার দিন পর মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত অরুন মিয়া ফরদাবাদ গ্রামের মৃত সুরুজ বেপারীর ছেলে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সৎ মা মোমেনা বেগম ও সৎ বোন লাকি আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) সুজন কুমার পাল জানান, পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম অরুণ মিয়াকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয় । পরে মোমেনা লাশ নয় টুকরো করে নয়টি পলিথিনে বেঁধে পার্শ্ববর্তী সৌদি প্রবাসী মনির মিয়ার সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী সেপটিক ট্যাংক থেকে গন্ধ বের হওয়ায় তারা পলিথিনগুলো দেখে আমাদের খবর দেয়। পরে সেখানে গিয়ে নয়টি পলিথিন ইট মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করি। এসময় তার ছেলে শনাক্ত করে এটা অরুন মিয়ার লাশ। এই ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম, তার মেয়ে লাকিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অ