সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দিগন্ত কুমার দাস। অন্যের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে রিকশা চালান তিনি। বাবা প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসারের দায়ভার এসে পড়ে তার কাঁধে। রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়েই চলে সংসার। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালেও রিকশা চালাতে বের হন তিনি। পথে পরে থাকা অবস্থায় তিনি পান প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণের নেকলেস। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এরপর নেকলেসটি ফেরত দেওয়ার জন্য প্রকৃত মালিককে খুঁজতে থাকেন। পরে মাইকিং শুনে তিনি প্রকৃত মালিককে তা ফেরত দিয়েছেন। রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া নেকলেসটি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের জনতা ব্যাংক মোড় এলাকার।
জানা যায়, নেকলেসটি ছিল সিঙ্গাপুর প্রবাসী রাশেদ হোসেনের স্ত্রীর। এই দম্পতি কালীগঞ্জের হেলাই গ্রাম থেকে ঝিনাইদহ শহরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে হারিয়ে যায় নেকলেসটি।
রাশেদ হোসেন জানান, ‘স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তিনি আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার জন্য রওনা হন। কালীগঞ্জ শহরে অজান্তে তার স্ত্রীর গলায় থাকা সাড়ে ৫ ভরি ওজনের নেকলেসটি গলা থেকে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর টের পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন রাশেদ। তবে কোথায় পড়েছে তা তিনি নিশ্চিত ছিলেন না।’
তিনি আরও জানান, ‘এরপর শহরে মাইকিং করা হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর রিকশাচালক দিগন্ত কুমার দাস তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং নেকলেসটি ফেরত দেন। তিনি রিকশাচালকের এই মহানুভবতা দেখে বিস্মিত হয়েছেন। সততার পুরস্কার হিসেবে তাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছেন রাশেদ।’
এ বিষয়ে রিকশাচালক দিগন্ত কুমার দাস বলেন, ‘তিনি ভাড়া নিয়ে রিকশা চালান। রোববার সকালে শহরের জনতা ব্যাংক মোড়ে সোনার নেকলেসটি পান। এরপর তিনি ফেরত দেয়ার জন্য প্রকৃত মালিক খুঁজছিলেন। মাইকিং শুনে নিশ্চিত হওয়ার পরই তিনি সেটি ফেরত দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।’
আরএ