সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ২৬নং মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জাকারিয়া খানের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় রোবববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর পরিবার। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এই যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য বিদ্যালয়ে সালিশ বসলেও এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে বিচার সম্পূর্ণ না করে অভিযুক্তকে নিয়ে চলে যান বিচারকেরা।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্ত ভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ জাকারিয়া খান চতুর্থ শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে ঐ বিদ্যালয়ে এবং তার বাড়িতে টিউশনের সময়ে প্রায়ই ওই ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। একাধিকবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে। গত কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করলে, তারা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে পরিবারেকে বিষয়টি জানায়। এছাড়া জাকারিয়া খান কয়েক বছর আগেও এমন একটি ঘটনা ঘটালে ছয় মাসের জন্য চরাঞ্চলে ডেপুটেশনে চলে যায়। পরে অদৃশ্য শক্তি ব্যবহার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।
এরপর ২৬নং মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যোগদানের পর গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রাইভেট শেষে বাকি শিক্ষার্থীদের ছুটি দিলেও ওই দুই ছাত্রীকে আটকে রাখেন জাকারিয়া। বাকি শিক্ষার্থীরা চলে গেলে দুই ছাত্রীকে বলে, তোমরা শুক্রবার প্রাইভেটের দুই ঘণ্টা আগে ৮টার সময় আসবা। এসে ব্যাগ ও জুতাসহ ঘরে প্রবেশ করে ঘর খিল দিবা। এরপর কোরআন শরিফ ছুয়ে প্রতিজ্ঞা করবা, আমাদের তিনজনের সাথে যা ঘটবে পৃথিবী উলটে গেলেও তা কারো কাছে কিছু বলা যাবে না। আমি ওর সঙ্গে যখন কিছু করবো তখন তুমি চোখ বন্ধ করবা। আর তোমার সঙ্গে কিছু করলে ও চোখ বন্ধ করবে। পরে এগুলো বলে শিক্ষক জাকারিয়া ও দুই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং শুক্রবার ভালো করে পরিষ্কার হয়ে যেতে বলেন।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর পরিবার বলেন, শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে বসলেও, উপস্থিত ক্ষুব্ধ জনগণের চাপে বিচারকেরা কোন সমাধান না দিয়ে চলে যান। তাই বিষয়টি নিয়ে কোনো সমাধান না হওয়ায় আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করি। তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবিও করেন তারা।
মুঠোফোনে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ জাকারিয়া খান বলেন, বিষয়টি সত্য নয়। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে, প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আখতার বলেন, তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হবে, তদন্তে ঘটনাটি যদি সত্য প্রমানিত হয় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএইচ