সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাজীপুরের আর অ্যান্ড জি (বিডি) গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকেরা সকালে কাজে যোগদান করতে এসে কারখানার প্রধান ফটকে বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়। পরে শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে পৌনে ৯টার দিকে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে। এসময় সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী ও চালকেরা। খবর পয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সোয়া ৯টার দিকে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলে আধা ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় শ্রমিকেরা এসব কর্মসূচি পালন করে। ওই কারখানায় প্রায় ১৩০০ শ্রমিক কাজ করে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, গতকাল রোববার শ্রমিকেরা হাজিরা বোনাস, নাইট বিল ও টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের ব্যবস্থাপকের অপসারণসহ ১২ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন তারা দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখে। শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সোম ও মঙ্গলবার দুই দিন কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। ওই ঘোষণার আগেই অনেক শ্রমিক বাড়ি চলে যাওয়ায় তারা বন্ধের বিষয়টি জানতো না। সোমাবার সকালে কারখানায় কাজে যোগ দিতে এসে তারা বন্ধের নোটিশ দেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। খবর পয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে আধা ঘণ্টা পর সোয়া ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিকেরা বাসায় চলে যায়।
আর অ্যান্ড জি (বিডি) গার্মেন্টস লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) সাব্বির আহমেদ জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন অনুযায়ী সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। গতকাল শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি কারখানা কর্তপক্ষ মেনে নেওয়ার পরও তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসব কারণে ভাংচুরের আশঙ্কায় নিরাপত্তার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই দিন কারখানা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, গাজীপুর জেলায় আজ নয়টি কারখানা বন্ধ আছে। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি কারখানা লে-অফ, একটি অস্থায়ী বন্ধ এবং তিনটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ থাকা কারখানাগুলো ছাড়া অন্যান্য কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন অব্যাহত আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরাও তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
আরএ