সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাকা কাঁঠালবাগান এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত শহীদ নয়ন ইসলামকে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বীরের মর্যাদা প্রদান করা হবে ও স্কুল রাস্তাঘাট তার নামে নামকরণ করা হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে নিহত শহীদ নয়ন ইসলামের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিহত নয়ন ইসলাম দূর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবধা গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। সে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিল।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, এখনও পরাজিত শক্তিরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তাদের স্বপ্নের সোনার সিংহাসন থেকে বিচ্যুত ঘটার কারণে তারা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে ফিরে যেতে চায়। আজকে আনসার বিদ্রোহ, কালকে পাহাড় বিদ্রোহ, তারপর সচিবালয় ঘেরাও, সুতরাং সবাইকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে ভূলণ্ঠিত করা হয়েছিল। এখনও দ্বিতীয় যুদ্ধ বাকি আছে। দ্বিতীয় যুদ্ধকি? জনগণ কর্তৃক অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
শোক সভায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, আদিতমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছালেকুজ্জামাম সালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নিহত শহীদ নয়ন ইসলামের কবর জিয়ারতের পর তার স্ত্রী ও সন্তানের হাতে নগদ ১ লাখ টাকা তুলে দেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রায় ৪৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবশেষে গত (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যুর কাছে হার মানেন নয়ন মিয়া।
আরএ