সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে চেয়ারে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই শিক্ষার্থীকে ক্ষমা করে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক।
গতকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় (ইউএনও) ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেনের কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেন। চেয়ারে বসা শিক্ষার্থীর নাম ইকরামুল হাসান। সে উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এর আগে গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় বিদ্যালয় ত্যাগ করেন ওই শিক্ষক।
পরে বিকেলে ওই শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে ছবি তুলে তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন। পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের সু-সম্মানিত আলমগীর স্যার কোথায়’ এরপর মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে সমালোচনা শুরু হয়।
সভা শেষে নিজের ভুল বুঝতে পারার কথা স্বীকার করে শিক্ষার্থী ইকরামুল হাসান বলেন, আমি আবেগে স্যারের চেয়ারে বসেছিলাম, স্যারের চেয়ারে বসা আমার ঠিক হয়নি, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, স্যারের নিকট ক্ষমা চেয়েছি। স্যার আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর কখনই করব না।
প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, সে এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছোট মানুষ ভুল করেছে, ক্ষমা চাওয়ায় আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। সে এমন ভুল আর কখনই করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধান হলেও মিথ্যা অভিযোগে একটি মহল এখনও আমাকে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে।
বিদ্যালয় পরিচালানা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিগার সুলতানা বলেন, প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসা শিক্ষার্থীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে রোববার বিকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থী ক্ষমা চাইলে প্রধান শিক্ষক তাকে ক্ষমা করে দেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কয়কজন শিক্ষকের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে, তাদের শোকজ করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ