সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল।
নিহত ব্যক্তি নাম মো. আব্দুস শহীদ (৪৩)। এর আগে, একই দিন বিকেলের দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের সূর্যনারায়নপুর গ্রামের ইসমাইল মুহুরীর বাড়ি থেকে ৪ যুবককে ছাত্র-জনতা গণপিটুনি দিয়ে একটি পাইপগানসহ যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদের মৃত্যু হয়।
নিহত শহীদ উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামের মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল মুহুরীর বাড়িতে স্থানীয় ছাত্র জনতা ঘেরাও করে ১টি পাইপগানসহ আব্দুস শহীদ (৪৩), মো. জামাল হোসেন (৪২), মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ হোসেন (৩৬) নামে চার ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে চারজনই আহত হয়।
সূত্র আরও জানায়, জনতার হাতে অস্ত্রসহ গণপিটুনির খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১৬ রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাপ্টেন ইফতেখার আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে স্থানীয় জনতার হাতে আটক ওই চার ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার এবং একটি পাইপগান জব্দ করা হয়। যৌথ বাহিনী আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে শহিদ মারা যান। অন্য তিনজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ছাত্র জনতা ঘেরাও করে চার দুর্বৃত্তকে আটক গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদের মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, নিহত শহীদের বিরুদ্ধে থানায় আটটি মামলা রয়েছে। সে থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
আরএ