সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শহরের উত্তর ইসলামপুরের বাসিন্দা সজল মোল্লার (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় ৪৫১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে মুন্সীগঞ্জে আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের হলো। এই মামলায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতা ও অন্তত ১০ জন জনপ্রতিনিধিসহ ৩০১ জনের নাম রয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০০/১৫০ জনকে।
গুলি করে হত্যার অভিযোগে আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর থানায় মামলাটি দায়ের হয়। এতে বাদী হয়েছেন নিহত সজলের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র মতে, মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনা, আনিস উজ্জামানের দুই ছেলে আক্তার উজ্জামান রাজিব ও জালাল উদ্দিন রুমি রাজন, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবুল ইসলাম নোবেল, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর সাজ্জাত হোসাইন সাগর, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল মৃধা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির মাস্টার, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূঁইয়া, শহর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রায়হানুজ্জামান রাসেল, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান সাদি প্রমুখ।
জনপ্রতিনিধিরা হলেন- পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, চরকেওয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া, আধারা ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর, শিলই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা, মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারি, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল রানা রানু।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের উপর অস্ত্র-ককটেল নিয়ে হামলা করে। ওইদিনের ঘটনায় ৩ জন নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। এছাড়া অন্তত ৯৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দেড় শতাধিক। আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিয়াজুল ফরাজী (৩৮), মো. সজল মোল্লা (৩০) ও নুর মোহাম্মদ ওরফে ডিপজল (২২)। নিহতদের মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে, সজল আলী আকবর মোল্লার ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে। এরা সকলেই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
আরএ