সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলোতে পুরোদমে উৎপাদন চলছে। মাত্র ২৫টি ব্যতীত সব কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকরা।
বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশেই সকালে শ্রমিক প্রবেশ করেছেন। তবে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এমন কারখানার সংখ্যা খুবই কম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম।
জানা গেছে, এখনও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় বন্ধ ২০টি কারখানা আজও খোলা হয়নি। এছাড়া সাধারণ ছুটি রয়েছে আরও ৫টি কারখানায়। তবে বাকি সব পোশাক কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন।
ইউরো আর্থ এপ্যারেল লিমিটেডের মোহাম্মদ শুভ বলেন, কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করে বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ করে বসে রয়েছেন। শ্রমিকরা মূলত সমস্যা সমাধান করতে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছেন। আবার কয়েকটিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি অরবিন্দ বিন্দু বেপারী বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় বন্ধ রয়েছে কয়েকটি কারখানা। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দিতে আমরা মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএ’র কাছে অনুরোধ করেছি। তা নাহলে এই বন্ধ কারখানাগুলোকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দ্রুত কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, কারখানা বন্ধ রাখা কোনো সমাধান নয়। খুলে দিয়ে মালিকপক্ষের উচিত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা।
শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, আজও শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। যা গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরও ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। এসব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানার সামনে গিয়ে হইচই করেছেন শ্রমিকরা। কারখানা খুলে দিতে আমরা বিজিএমইএ ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।
তিনি আরও বলেন,] শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় বিভিন্ন কারখানার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অব্যাহত আছে যৌথ বাহিনীর টহল কার্যক্রম।
আরএ