সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাতক্ষীরার মতবিনিময় সভা পণ্ড হয়েছে। ছাত্রদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে এই সভা করতে পারেননি কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। ঢাকা থেকে আগত সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টির অভিযোগ জানিয়ে বক্তৃতা দিয়ে বের করে দিতে উদ্যোত হন স্থানীয় ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সমম্বয়ক নাজমুল হোসেন রনি জানান, শিল্পকলা একাডেমিতে সোমবার বিকেলে ওয়াহিদুজ্জামান, আকরাম হোসেন রাজসহ কেন্দ্রীয় সমম্বয়কদের সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বৈঠক চলছিল। মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় সমম্বয়ক আকরাম হোসেন রাজ।
ওই সময় জনি ও সানি নামে দুজন অডিটরিয়ামে বসা নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে থাকেন। এমনকি তারা মঞ্চে তেড়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে ছাত্রদের নিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন সানি। এসব হট্টগোলের মধ্যে বক্তব্য শেষ করেন রাজ।
আরেক সমম্বয়ক ইমরান হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাসেবার কাজ করছেন ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীরা, এমন অভিযোগে ছাত্ররা ভুয়া-ভুয়া স্লোগান দেয়। এ থেকে সভায় গণ্ডগোলের শুরু। ইমরান পরে আরেক অভিযোগ দেয় ছাত্রদলের জনি ও সানিসহ কতিপয় নেতাকর্মী অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করছে।
তবে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শেখ শরিফুজ্জামান সজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জনি ও সানি নামের ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী নেই। ছাত্রদলের কর্মী বলে যাদের পরিচয় দেওয়া হচ্ছে, এটা ষড়যন্ত্রমূলক। ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন না বলেও জানান তিনি।
ছাত্র আন্দোলনকারী হাবিব জানান, সাতক্ষীরার কয়েকজন সমম্বয়ককে বাদ দিয়ে অন্যান্যদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা হয়েছে। এরই জের ধরে শিল্পকলা একাডেমিতে হৈ-হট্টগোল শুরু হয়। ছাত্রদের এক পক্ষ মঞ্চে উঠে মাইক হাতে বলতে শুরু করেন। সাতক্ষীরায় আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে যারা সামনে থেকে আন্দোলন করছে, তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। তাই প্রোগ্রাম হতে দেওয়া হবেনা। তাদেরকে প্রোগ্রাম বন্ধ করে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো অডিটরিয়াম। একে-অপরের সাথে হট্টগোলে জড়িয়ে পড়ে সভা পণ্ড হয়। পরে অডিটরিয়ামের সামনে মারপিটে জড়ান ছাত্রদের দু’গ্রুপ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বড় কোনো সংঘাত সৃষ্টি করতে দেওয়া হয়নি। এদিকে এই পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা থেকে আগত সমন্বয়করা রাতেই হাতে লিখে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন।
আরএ