সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলায় নিয়ামতনগরে নেয়ামতুল্লাহ শাহ্ সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসায় নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রতিষ্ঠানে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভিযোগে ১৬ দফা দাবি তুলে ধরে অধ্যক্ষের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মাদরাসা চলাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানে সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদের পক্ষ থেকে এ দাবি দাওয়া তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যেরও একটি অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদও প্রচার হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ আ. সামাদ সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে নিজের ভায়রা ও শ্যালককে বসিয়েছেন। শিক্ষক ও আয়াসহ বিভিন্ন পদে সাবেক সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ আ. সামাদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ছেলে-মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদেরকে চাকরিতে প্রবেশ করানোর অভিযোগ করেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানে আইসিটি শিক্ষক পদে অধ্যাক্ষের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, গ্রন্থগার ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি পদে ছেলের স্ত্রী মোছা. সাম্মী আক্তার, নৈশপ্রহরী পদে শ্যালক সাইদার রহমান, শরীরচর্চা শিক্ষক পদে শ্যালকের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন, আয়া পদে শালিকার মেয়ে রুমী বেগম, কৃষি শিক্ষক পদে ভাতিজা তোফায়েলুর রহমান পলাশ, সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক পদে সভাপতির ছেলের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তারকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও গভর্নিং বডি গঠনে পরিবারতন্ত্রের বাদ যায়নি। এখানে সহ-সভাপতি ও বিদ্যুৎসাহী হিসেবে অধ্যক্ষের ভায়রা ভাই আব্দুস সোবহান, বিদ্যুৎসাহী হিসেবে শ্যালক গোলাম মোস্তফা, সদস্য হিসেবে শ্যালক গোলাম আজম মাসুদকে স্থান করে দিয়েছেন।
এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে সচেতন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
আরএ