সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সকল মত ও পথকে নিয়েই হবে সম্প্রীতি। একটি সর্বজনের রাষ্ট্র বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে সুসংহত হতে পারে সামাজিক সংহতি। কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক শান্তি ও সম্প্রীতির সংলাপে এমনই অভিমত দিয়েছে তরুণরা।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশননের সহযোগিতায় ইউথ এঙ্গেজমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচির অধীনে ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন এই সংলাপের আয়োজন করে পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে। সংলাপের বিষয় শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি। যেখানে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের তরুণ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে আমরা কিভাবে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে সবার জন্য একটি সহিংসতা মুক্ত, শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল এবং টেকসই সমাজ বিনির্মাণ করতে পারি এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন জেলা সম্বনয়ক অ্যাডভোকেট মারুফ বিন কবির, ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মরিয়ম প্রমা।
শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশে দুইটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনের বিষয় ছিল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সামাজিক সংহতি ও গণমাধ্যমের ভূমিকা। যেখানে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও পালস এনজিও’র চেয়ারম্যান আবু মুর্শেদ চৌধুরী খোকা, জাগো নারী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিউলি শর্মা, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু এবং সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম লিপু।
দ্বিতীয় অধিবেশনের বিষয় ছিল ‘আন্তঃপ্রজন্ম সংলাপ ও সামাজিক সংহতি’। যেখানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি শিফা হাফিজা, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী সৌরভ দেব, ট্রাভেলেটর বাংলাদেশের কো-ফাউন্ডার ডা. সাকিয়া হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম ম্যানেজার প্রোগাম ম্যানেজার মনজুরুল আলম, চকরিয়া কলেজের প্রভাষক সবুজ কান্তি ধর ও মুহাম্মদ শওকত আলী।
ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ সিদ্দিকী বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহিংসতামুক্ত এবং টেকসই সমাজ বিনির্মাণে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ও ন্যায় বিচারের গুরুত্ব অপরিসীম। শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আমাদের মুরব্বিদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, এবং পরামর্শও অত্যন্ত মূল্যবান। ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও প্রজন্মের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সামাজিক সংহতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারকে শান্তিপূর্ণ করতে হলে সবার মতামত এবং অংশগ্রহণ জরুরি। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহিংসতামুক্ত এবং ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে পারি । তিনি সবাইকে এই সংলাপে যোগ দিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন।
আরএ