সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নাটোরের বড়াইগ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৯টি বাড়িসহ, পাঁচটি মোটর সাইকেল এবং ২৬ টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার রাতে বড়াইগ্রামের চান্দাই ইউনিয়নের দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন, বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক, (তদন্ত) সরল মুরমু। আহতদের মধ্য গুলিবিদ্ধরা হলেন, বিএনপি কর্মী রাজেন্দ্রপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম মালিথা (৩৮), সাগর আলী (২০), মামুন হোসেন (২১), জাহিদ আলী (১৮), মশিউর রহমান (২৮), এবং দাসগ্রামের রবিউল করিম (৩৯)।
এছাড়া সংঘর্ষে অন্যান্য আহতরা হলেন, এছাড়া সংঘর্ষে দাসগ্রামের মেহেদী হাসান (২৮), শাহ আজিজ (৪০), লিটন (৩৮) ও আওয়ামী লীগ কর্মী শাহিন মালিথা (৬০)। আহতদের মধ্যে শহীদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যদের বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দাসগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল টিপু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। কয়েক মাস আগে বিএনপির কমিটি গঠনের পরদিন তা বাতিলের জন্য মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আলাদা আলাদা ভাবে কর্মসূচী পালন করে আসছিলেন তারা। রোববার সন্ধ্যায় চান্দাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল টিপুর অনুসারীরা দাসগ্রাম বাজারে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের অফিস ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে হাবিবুর রহমান শতাধিক লোক নিয়ে বাজারে এসে গুলি চালানোসহ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে টিপুর লোকজন পালিয়ে যায়। পরে হাবিবুরের অনুসারীরা দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ে মোট ২৬টি দোকানসহ আব্দুল আউয়াল টিপু, সাইদুল ইসলাম, সালেক আলী, মৃদুল, ইউনুস আলী, আনিসুর রহমান, আব্দুল হান্নান, নুর নবী, খায়রুল ইসলাম এবং বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহুরুল মালিথার বাড়ি ঘরে ভাঙচুর করে।
এ সময় হামলাকারীরা দোকানপাট ও বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করেন, ক্ষতিগ্রস্থরা।
যদিও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আব্দুল আউয়াল টিপু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিকেলে বিনা উস্কানীতে দাসগ্রাম বাজারে আমার দোকান ঘর, অফিস ও যুবদলের কার্যালয় ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে আমার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় সেখানে কিছু ঘটনা ঘটলেও গোলাগুলি ও লুটপাটের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন, আহতদের মধ্যে দুজনের শরীর থেকে অপারেশন করে গুলি বের করা হয়েছে। অপর চারজনের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরল মুরমু বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফএইচ