সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্স কারখানায় পুড়ে যাওয়া মালপত্র লুট করায় সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত আটকৃতদের প্রত্যেককে সাত দিনের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবাইদুর রহমান সালেহ আটকদের সাজা প্রদান করেন। তিনি জানান, সকালে গাজী টায়ার্সের কারখানায় লুটপাটকারীদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এসময় দন্ডপ্রাপ্তদের হাতেনাতে ধরা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রুপগঞ্জের পাড়াগাঁও এলাকার মোতাবর হোসেনের ছেলে আব্দুস সাত্তার (২২), খাদুন এলাকার ফজলুল হকের ছেলে খোরশেদ আলম (২১), তাদির ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম (২৫), আতাবর রহমানের ছেলে মাহবুব হোসেন (৩৫), তারাব এলাকার আলেব শেখের ছেলে সিরাজ (৩২), মোগড়াকুল এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোতালিব (৪৮), আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন (৩০)।
আগুন ক্ষতিগ্রস্থ কারখানায় লুট ত্রাস ঠেকাতে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক। তিনি জানান, গত ২৫ আগস্ট গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দুর্বৃত্তরা প্রায় কারখানার ভেতর ঢুকে লুট ত্রাসের চেষ্টা চালায়। আজ লুটপাটকারীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করা করে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
কারখানার মালিক সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী গত ২৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। এ রাতেই কারখানাটিতে আগুন দেয় একদল দুর্বত্ত। দীর্ঘ চেষ্টায় মঙ্গলবার রাতে আগুন পুরোপুরি নেভানো যায়। এর আগে রোববার দুপুর থেকে কারখানায় চলে লুটপাট। আগুন দেওয়ার আগে অনেকেই লুটপাটে ব্যস্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে সংর্ঘষে জড়ায় দুটি পক্ষ। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভেতরেই আটকা পড়েন অনেকে। ধারণা করা হচ্ছে ভেতরে অনন্ত ১৭৬ জন ছিলেন। যদিও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়নি। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিও প্রতিবেদন এখনো জমা দেননি।
রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার প্রায় ৪৫ একর জায়গার উপর ২০০২ সালে কারখানাটির উৎপাদন শুরু হয়। কারখানাটিতে দেশে উৎপাদিত রাবার থেকে বিভিন্ন যানবাহনের টায়ার তৈরি হতো। কারখানাটিতে প্রায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন।
এফএইচ