সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের নেতারা।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারে ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নিহত ত্বকীর পিতা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, শিশু সংগঠন খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মাসুম, সদস্য সচিব কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ,গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, ‘ওসমান পরিবার শহরের আশিক, চঞ্চল, ভুলু, মিঠুসহ অসংখ্য মানুষের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। জামতলায় মিঠুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, আশিককে তাদের টর্চার সেলে হত্যা করেছে। ত্বকীকে এই টর্চার সেলে নিয়ে গজারির লাঠি দিয়ে ১১ জন মিলে পিটিয়ে অজ্ঞান করেছে। তারপর তার বুকের ওপর উঠে গলা টিপে হত্যা করেছে। শরীরের কয়েকটি অঙ্গ তারা থেতলে দিয়েছে। চোখ উপড়ে নিয়েছে। এই নৃশংসতার মধ্য দিয়ে তারা কতটা ভয়াবহ তা জানান দিয়েছে।’
ত্বকীর পিতা বলেন, ‘এসব কথা জেনেও শেখ হাসিনা এই খুনি, জল্লাদদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে রক্ষা করেছেন। ত্বকীকে হত্যার পরেও এই ওসমান পরিবারকে দেখে রাখার কথা বলেছিলেন হাসিনা। জল্লাদের পাহারাদার যে হতে পারে, সে নিজে কতটা নৃশংস ও ভয়াবহ! শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছে। কিন্তু ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাই। আমাদের ধ্বংস করা বিচার-ব্যবস্থা ফিরে আসবে। গণতন্ত্র মুক্তি পাক, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হোক, এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।’
এছাড়াও তিনি ত্বকী, সাগর-রুনি, তনুসহ সকল হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। একদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যায় মেলে ত্বকীর লাশ। ত্বকী হত্যার সঙ্গে ওসমান পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছেন বলে শুরু থেকে অভিযোগ করে আসছে তার পরিবার। তবে, দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
অ