সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দাগনভূঞার আমলী আদালতে একই উপজেলার মেহেদীপুর গ্রামের মো. স্বপন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মো. মনছুর ভূঁইয়া, ইউসুফ, শাহীন, ইলিয়াস, মিজানুর রহমান, নাসির, জসীম উদ্দিন, আবুল কালাম ও মিলন। তারা সবাই দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা।
জানা গেছে, আসামিরা ছাত্রদল ও যুবদলের পদ-পদবিতে রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, স্বপনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আসামি ইউসুফের সম্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এসবের জের ধরে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতঘরে হামলা চালিয়ে জখম করে। এসময় তারা বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার লুট ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে স্বপনের স্ত্রী চিৎকার শুরু করলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করে।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় দাগনভূঞা থানায় মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী স্বপন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন খোন্দকার বলেন, ‘ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে দাগনভূঞার আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন বলেন, ‘কোথাকার কোন স্বপন আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, আমি তাকে চিনি না। তবে শুনেছি স্বপন যাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, তারাই স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। সেই মামলার বিরুদ্ধে স্বপন আরেকটি মামলা করে। আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তাই দলের প্রত্যেকের দেখাশুনা করতে হয়। এজন্য আমাকে মামলায় জড়িয়েছে।’
অ